আজ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : রাত ২:৫০

বার : রবিবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

শেখ হাসিনার দু:শসানের ৫৩৮০ দিন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দানবে রূপ নিয়েছে ছাত্রলীগ

শেখ হাসিনার দু:শসানের ৫৩৮০ দিন

বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দানবে রূপ নিয়েছে ছাত্রলীগ

শেখ হাসিনার দু:শসানের ৫৩৮০ দিন

শেখ হাসিনার দু:শসানের ৫৩৮০ দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি

শেখ হাসিনার দু:শাসনে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দানবে রূপ নিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ভিন্নমত ও বিরোধী দলের ছাত্রদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ নেই। এছাড়া ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে ৫০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। একমাত্র বুয়েটে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচার নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে এখনো হাইকোর্টে বিচারের জন্য তালিকায় উঠেনি। এছাড়া আর কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি নিহতদের পরিবার।

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আক্রমনে নিহতদের একটি খতিয়ান নিম্নরূপ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

মহিউদ্দিন কায়সার হত্যা: ২০১০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির রাতে চট্টগ্রামের ষোল শহর রেলস্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মহিউদ্দিন কায়সারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মহিউদ্দিনকে নিজেদের কর্মী দাবি করে ইসলামী ছাত্রশিবির।

মামুন হত্যা:

একই বছরের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহ আমানত হল ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনকে খুন করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ।

হারুন অর রশীদ হত্যা:

২০১০ সালের ২৮ মার্চ রাতে শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চবি মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র হারুন অর রশীদকে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা গলাকেটে হত্যা করে।

তাপস হত্যা:

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছাত্রলীগ কর্মী তাপস।

দিয়াজ হত্যা:

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চবির ২নং গেট সংলগ্ন নিজ বাসায় খুন হন ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ। এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ১০ নেতাকর্মী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শরিফুজ্জামান হত্যা:

২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন রাবির শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী।

নাসিম হত্যা:

২০১০ সালের ১৫ আগস্ট শোক দিবসে টোকেন ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শাহ মখদুম হলের দোতলার ছাদ থেকে ছাত্রলীগ কর্মী নাসিরুল্লাহ নাসিমকে ফেলে হত্যা করে ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা।

সোহেল হত্যা:

২০১২ সালের ১৫ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান ওরফে সোহেল। পদ্মা সেতুর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে এই কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছিল।

রুস্তম হত্যা:

ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল নিজ কক্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী আকন্দ।

ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শিশু রাব্বি হত্যা:

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে বলি হন ১০ বছরের শিশু রাব্বি। ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

সায়াদ হত্যা:

২০১৪ সালের ৩১ মার্চ নিজ দলের নেতাকর্মী হাতেই প্রাণ হারান আশরাফুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সায়াদ ইবনে মমাজ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিশ্বজিৎ হত্যা:

ইসলামী ছাত্রশিবির সন্দেহে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচির দিনে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুবায়ের হত্যা:

২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলের জেরে হামলায় গুরুতর আহত হন জাবির ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু বকর হত্যা:

২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নির্মমভাবে খুন হন মেধাবী ছাত্র আবু বকর। এ হত্যা মামলায় সব আসামি ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বিপুল হত্যা:

২০১২ সালের ৯ জুন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ফাহিম মাহফুজ বিপুল।

জাকারিয়া ও মিল্টন হত্যা:

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা পড়েন হাবিপ্রবির বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জাকারিয়া ও কৃষি বিভাগের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মিল্টন। ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

সজীব, রিয়াদ ও সুমন দাস হত্যা:

২০১২ সালের ১২ মার্চ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল আজিজ খান সজীব খুন হন।

২০১৪ সালের ১৪ জুলাই ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে প্রকাশ্যে খুন হন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিয়াদ।

একই বছর ২০ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারান ছাত্রলীগ কর্মী ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুমন দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category